ঢাকা মহানগরীতে আসছে বিএনপির নতুন কমিটি

ঢাকা মহানগরীতে আসছে বিএনপির নতুন কমিটি

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ‘ব্যর্থতার’ দায়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছ। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ২১ সদস্যের একটি ‘হাই প্রোফাইল’ কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে মহানগর বিএনপির দপ্তর সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওইদিনই নগর নেতাদের নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি অবহিত করবেন। পরদিন মঙ্গলবার নতুন কমিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হতে পারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে। তবে হান্নান শাহ শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এ মুহূর্তে দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছেন না বলেও জানা যায়।

শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি না হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং মির্জা আব্বাসের মধ্যে একজনকে আহ্বায়ক করা হতে পারে। সদস্য সচিব হতে পারেন নগর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ খান খোকন।

কমিটির মেয়াদ হবে এক মাস। এ সময়ের মধ্যে কমিটিকে নগরীর সব থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। এ সব কমিটি গঠন করার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন জোরদার এবং সংগঠনের গতিশীলতা বাড়াতে নগর কমিটি উত্তর এবং দক্ষিণ-এ দুই ভাগে ভাগ করা হবে। ঢাকা মহানগর কমিটি (উত্তর-দক্ষিণ) দুভাগ করার বিষয়েও সুপারিশ এসেছে। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। তখন আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার আগে ঢাকা মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন নেতারা। তাদের পরামর্শেই নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও নগর বিএনপির ব্যর্থতার বিষয়টি উঠে আসে। ওই সময় খালেদা জিয়া নগর বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক এবং আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় কমিটিকে ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই সব কমিটি গঠনের পর নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে জানানো হয়। অথচ কমিটি গঠনের প্রায় তিন বছরেও নগর বিএনপি কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।

বেশির ভাগ ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কমিটিও হয়নি। তৃণমুল নেতাকর্মীরা মনে করেন, যে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে তা হয়েছে ‘পকেট কমিটি’।ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলন ঢাকায় ব্যর্থ হওয়ার জন্য অনেকাংশে নগর বিএনপিকে দায়ী করা হয়। নির্বাচনের পর তাই এ কমিটি ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে খালেদা জিয়ার ওপর চাপ দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
সম্ভাব্য ২১ সদস্যের কমিটিতে থাকতে পারেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিনেপি নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিব-উন-নবী সোহেল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, এমএ কাইয়ুম প্রমুখ।

 

বাংলাদেশ রাজনীতি