খালেদা জিয়া ঝগড়াটে ও বেহায়া মহিলার মতো কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার ভাষা সংযত হওয়া উচিত। তিনি চাঁদপুরে সোমবার বলেছেন, সরকারকে নাকি লেংড়া লুলা বানিয়ে দেবেন। তার ভাবা উচিত, সরকারকে লেংড়া বানানো মানে আমাদের যারা ভোট দিয়েছে তাদের সবাইকে লেংড়া বানানো। এমন ভাষা তার মতো বেহায়া ঝগড়াটে মহিলার মুখেই মানায়।
তিনি বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ বিশাল জনসভা করবে বলে জানান। এই জনসভার মাধ্যমে ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কিভাবে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে খালেদা জিয়া দুই মাসের জন্য ক্ষমতায় এসেছিলেন তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন বলেও তিনি জানান।
হানিফ আরো বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৪ জনকে হত্যা ও অর্ধশত সাংবাদিককে আহত করেছিলেন। এছাড়া তার সময়ে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, আসলে খালেদা জিয়ার লজ্জা নেই। লজ্জা থাকলে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে এভাবে অপপ্রচার চালাতে পারতেন না।
একই সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আগামী ১২ মার্চ বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচির সাধ ভালোভাবে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ শিখা চিরন্তনে আমরা এমন কর্মসূচি দেবো যে তাদের ঢাকায় আসার সাধ মিটে যাবে।’
মার্চ শুধু আওয়ামী লীগের মাস হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাস কাউকে ইজারা দেওয়া হবে না। কারণ, এটি স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির মাস। এই মাসে কর্মসূচির নামে কাউকে জ্বালাও-পোড়াও করতে দেওয়া হবে না। তিনি খালেদা জিয়াকে ব্যঙ্গ করে বলেন, ৩০ মার্চ স্বৈরাচার পতন দিবস। কারণ এই দিনে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা থেকে পড়ে গিয়ে লেংড়া হয়ে গেছেন। এবং এখনো লেংড়াই আছেন। পুরো মার্চ মাস ঢাকা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই, আমরা যুদ্ধে নেমে গেছি। আর এই যুদ্ধ খালেদা জিয়া ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে।’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।