পাকিস্তান জিএসপি সুবিধা পেয়ে গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারত জিএসপি সুবিধা পেলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য তা ব্যাড নিউজ বলে মনে করছেন বিজিএমইএ-এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি আবার বলছি সকলে এক সঙ্গে কাজ না করলে এ শিল্প লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা ৪০মিনিটে বিজিএমইএ’র সভাকক্ষে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ইমপেক্টের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জিএসপি সুবিধা স্থগিত আছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগে পাকিস্তান জিএসপি সুবিধা পেয়ে গেছে। এতে করে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, যা ইতোমধ্যে আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি। তার ওপর আবার ভারতও জিএসপি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।
যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপির ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দশ বছর আগের কারখানা আর আজকের কারখানা এক নয়। দিন দিন কারখানা পরিবেশের উন্নতি করছে। কারখানায় এখন এ্যাপয়েন্টমেন্ট কার্ড দেয়া হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়েছে। সবাই শুধু কমপ্লায়েন্টসের কথা বলছেন। আমাদের ভাল কারখানাও রয়েছে।
কারখানার পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ সেক্টরের সমস্যা এক রাতেই সমাধান হওয়ার নয়।
তিনি আরো বলেন, বায়াররা পোশাকের কোনো মূল্য বাড়ায়নি বরং তারা বলে তোমার দেশে রাজনৈতিক সমস্যা। আমরা থাকবো না। আমরা অন্য দেশে চলে যাবো। আমরা যদি সবাই একসাথে কাজ করতে না পারি তা হলে এ শিল্প লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে অনেক কথা হয়। রানা প্লাজা ধসের সময় ট্রেড ইউনিয়ন ছিলো ৩৫টি, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৯৬টি। আরো ৬৬টি ইউনিয়ন পাইপ লাইনে আছে।
ইমপেক্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রোজি হার্ট বলেন, এই চুক্তি করাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই বিজিএমইএ-এর সঙ্গে কাজ করে কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সহায়তা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে। আশা করছি- আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রাইমার্ক, টেস্কো, ওয়ালমার্টের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো উপস্থিত ছিলো।
এই চুক্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২০০ কারখানায় নিরাপত্তা উন্নয়ন ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিজিএমইএ-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে ইমপেক্ট। ইতোমধ্যে ৪৫টি কারখানাতে এসব সুবিধা প্রদান করেছে ইমপেক্ট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ৬৫ হাজার ডলার সহায়তা করবে ইমপেক্ট।