ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ হাজার ৫৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেশি ঋণ বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেস্যাল প্রোগ্রামস বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ৭ লাখ ৪৪ হাজার ২২৮ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের মাঝে দেশে কার্যরত ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৮৫ হাজার ৩২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করে। ২০১২ সালে এ খাতে ৬৯ হাজার ৭৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ( ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে) ১৫ হাজার ৫৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭৪ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। সেখানে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৮৫ হাজার ৩২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সুতরাং ঋণ বিতরণ করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ১১৬ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেস্যাল প্রোগ্রামস বিভাগ চলতি ২০১৪ সালের জন্য ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৮৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা এসএমই খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাসুম পাটোয়ারী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো এবার বড় উদ্যোক্তাদের তুলনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের শিল্প উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দিয়েছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ একত্র করে তাদের মোট ঋণ বেড়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি ও ব্যাংকগুলোর আন্তরিকতার ফলে এসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণের গুণগত মানও বেড়েছে।
তিনি বলেন, গতবছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উৎপাদন খাতে ঋণপ্রবাহ কিছুটা কমে গেছে। তবে আগামীতে এই খাতে এসএমই ঋণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, প্রকৃত উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে ঋণের মান ও উদ্যোক্তা যাচাই করছেন। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব কারণে এসএমই খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।