বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাড়ে নয় কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদি হয়ে সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলাটি (মামলা নং-১৩) দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অর্থ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
এ সময় তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা গোপন করে দেশে বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাজ্যের ‘লর্ড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট’ ব্যাংকে তার নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। এ টাকাগুলো তিনি বিভিন্ন সময়ে ১০৮৪৯২ নম্বরে ফিক্সট টার্ম ডিপোজিট হিসেবে জমা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. মোশাররফ হোসেনের দেয়া সম্পদ বিবরণীর বাইরে যুক্তরাজ্যের একটি প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ জমা করেন। তিনি এ টাকা দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর সময় বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করেননি। যাতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ ধারা লঙ্ঘিত হয়।
দুদক সূত্র আরও জানায়, অনুসন্ধানে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২ এর ১৩ ধারা এবং ২০০৯ ও ২০১২ এর চার ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য হয়েছে। ফলে দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা (রমনা-১৩) দায়ের করে।