ঢাকা মহানগর কমিটি ও ছাত্রদলকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে কোনো সময় বেধে না দেওয়ার পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেধে না দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চায় দলটি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় তিন মাস পর অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কয়েকদিনের মধ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণার ব্যাপারে মত দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যই বিগত আন্দোলনে ঢাকা মহানগরের কর্মকান্ডের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন তারা। এজন্য মহানগরকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে তারা মত দেন। বিএনপি চেয়ারপারসনও এ বিষয়ে এক মত পোষণ করেন। তিনি সদস্যদের বলেন, মহানগর নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তবে মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তার আগে নয়।
পাশাপাশি ছাত্রদলকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন সদস্যরা। তবে আজকের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।
বৈঠকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের পর দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মূল্যায়ন করেন নেতারা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলন সফল হওয়ায় তাঁকে অন্য সদস্যরা অভিনন্দন জানান। চেয়ারপারসন আন্দোলন সফল করার জন্য মাঠপর্যায়ের নেতাদের অভিনন্দন জানানোর কথা বলেন।
বিএনপি কতদিন পর নতুন নির্বাচন চাইবে তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। কেউ ছয় মাসের কথা বলেছেন। কেউবা একে ‘বেশি আগে’ বলে মত দেন। তবে দলীয় চেয়ারপারসন বলেন, কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেধে দিয়ে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করার কথা বলা হবে না। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চাইবে।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মইন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।