লাল কাপড়ে মোড়ানো ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক ও চোরাচালান মামলার রায়ের অনুলিপি রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল রায়ের অনুলিপি নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় পৌঁছে সুপ্রিম কোর্ট রেজিষ্টার বরাবর রায়ের অনুলিপি হস্তান্তর করা হবে।’ তিনি আরও জানান, একটি ট্রাংকে ভরে রায়ের অনুলিপি ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ছয়জন পুলিশ এর নিরাপত্তায় দায়িত্বে রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে চোরাচালান মামলার রায় ২৬০ পৃষ্ঠা এবং অস্ত্র আটক মামলার রায় ২৫৪ পৃষ্ঠা।
গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুটি মামলার মধ্যে একটিতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চোরাচালানের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫২ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে এই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এই মামলায় একই সঙ্গে এঁদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। আর অস্ত্র আইনে করা মামলায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আসামি ছিলেন ৫০ জন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। সিআইডি পুলিশ দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে। এর বিচারও একসঙ্গে শুরু হয়।