বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে এক ব্যক্তির ক্ষমতা জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে একদলীয় সরকার গঠন করে ক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি আজ বিকেলে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ১৯ দলীয় জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটি অবৈধ সরকার। সুতরাং এই সরকারের মুখে জনগণের কথা শোভা পায় না।
বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধী জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত এক মাসে বিরোধী জোটের ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তালিকা করে বেছে বেছে খুন, গুম, আটক ও বিচার বাহির্ভূত হত্যা করছে। মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে লাঞ্ছিত করছে।’ খুনি সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে কারাগার ভর্তি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, সারওয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অধ্যাপক এমএ মান্নান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফজলুর রহমান পটল, সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
১৯ দলীয় জোটে নেতাদের মধ্যে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালীব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা ইসহাক, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তজা, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগ সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।