চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ১৪ আসামির প্রাণদণ্ড ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় একটি পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে বিচারিক আদালত। চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুরে চোরাচালান ও অস্ত্র আইনের দুই মামলার রায়ে সই করেন।
দুটি মামলার মধ্যে একটিতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের চালান আটক করা হয়, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে ‘শক্তিশালী’ করতেই তা আনা হয়েছিল বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এ মামলায় রাষ্ট্রের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এমনকি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের আর কোথাও ঘটেছে কি না সন্দেহ।
কমিটিতে পাঁচজন সদস্য ছিলেন, যাদের তিনজনই এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামানও সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুই মামলার দুই পৃষ্টার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, যে পরিমান অস্ত্র আনা হয়েছিল তা দিয়ে ছোটখাট একটি ক্যান্টনমেন্ট গড়ে তোলা যেতো। একটি বা দুটি অস্ত্রের বিষয়ে যে রায় দেয়া হয় এ রায়ে এমনটি ভাবার সুযোগ নেই।