থাইল্যান্ডে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে গতকাল নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সরকার বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পুনর্নির্বাচন ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক প্রচেষ্টার মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচন কমিশন জানায়, স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে কয়েকশ কেন্দ্রে ভোট নেওয়াই সম্ভব হয়নি কিংবা ভোট আগেই বন্ধ করে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে। এ দিকে আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ঠিক একদিন আগে শনিবার রাজধানী ব্যাংককের ব্যস্ততম এলাকায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে ওই ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও একজন মার্কিন ফটোসাংবাদিকসহ অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সরকারবিরোধীদের প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও নির্বাচন করছে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন সরকার। অন্যদিকে, কোনোভাবে নির্বাচন হতে না দেওয়ার প্রত্যয়ে রাস্তায় নামে সরকারবিরোধীরা।
অন্যদিকে বিরোধীদের অবরুদ্ধ করে রাখা একটি ভবনে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যালট বাঙ্ নিয়ে ঢুকলে সরকারপন্থিদের সঙ্গে বিরোধীদের এ সংঘর্ষ বাধে। শনিবারের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষ যোগ দেন। অস্থিতিশীলতার মধ্যে নির্বাচন না করার পরামর্শ সত্ত্বেও নির্বাচন করতে অনড় ছিলেন ইংলাক। ইংলাকের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান। নির্বাচন বাতিল করতে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন তিনি।