চট্টগ্রামে ব্যাটিং উইকেট

চট্টগ্রামে ব্যাটিং উইকেট

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেরা বোলিং স্পেল সাকিব আল হাসানের। ২০০৮ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। গত বছর একই দলের বিপক্ষে সোহাগ গাজী ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ৭৭ রানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল মাঠে নামার আগের টাইগারদের উজ্জীবিত করতেই পারে এই দুটি স্পেল। কিংবা গত বছর ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে মুমিনুল হক সৌরভের ১৮১ রানের ইনিংসটিও উদ্দীপ্ত করতে পারে মুশফিকুর রহিমদের। জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই উজ্জীবিত হওয়ার মতো পারফরম্যান্স রয়েছে টাইগারদের। তাই হয়তো চট্টগ্রামে বানানো হচ্ছে মান বাঁচানোর নিষ্প্রাণ উইকেট। যেখানে থাকবে শুধু ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য। কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু উইকেটের চরিত্র নিয়ে আগাম কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে ধুসর রংয়ের উইকেট ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের। পাঁচদিন পর্যন্ত উইকেট যাতে অক্ষত থাকে, সেজন্য গত কয়েকদিন পানি দেওয়ার পাশাপাশি রোলিংও করা হয়েছে। ট্টগ্রামকে বলা হয় পয়মন্ত ভেন্যু। প্রথম টেস্ট জয় এই চট্টগ্রামেই পেয়েছিল টাইগাররা। সেটা প্রায় নয় বছর আগে। তবে জয়টি জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নয়, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সেখানে এখন আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একমাত্র ভেন্যু এখন জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম। সেখানেই কাল শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট। এখানে এর আগেও দুই দল টেস্ট খেলেছে। ২০০৬ সালে হেরেছিল ৮ উইকেটে এবং ২০০৮ সালে ৪৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্পোর্টিং উইকেট বানানো হয়েছিল টাইগার ক্রিকেটারদের চাওয়া অনুযায়ী। কিন্তু আদতেই কি স্পোর্টিং ছিল? ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ২৩২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫০ রান করেছিল মুশফিকবাহিনী। মাহেলা জয়াবর্ধনের ক্যারিয়ারের সপ্তম ডাবল সেঞ্চুরি ও কৌশল্য সিলভা ও বিথানাগের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৭৩০ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মিরপুরে টাইগাররা ইনিংস ও ২৪৮ রানে হেরেছিল মাত্র সাড়ে তিন সেসনে। অথচ গত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলছিল টাইগাররা। এই ছন্দপতন ঠেকাতে চট্টগ্রামের উইকেটকে বানানো হচ্ছে ব্যাটিং সহায়ক। এ প্রসঙ্গে কিউরেটর বাবু কিছুই বলেননি, ‘উইকেটের আচরণ নিয়ে কোনো কিছু বলা নিষেধ।’

জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে টাইগাররা টেস্ট খেলেছে এখন পর্যন্ত ১১টি। যার তিনটি ড্র এবং ৮টি পরাজয়। এরমধ্যে ইনিংস হার তিনটি। সর্বশেষ গত বছর অক্টোবরে এখানে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে টেস্ট ড্র করেছিল মুশফিকবাহিনী। নিউজিল্যান্ডের ৪৬৯ রানের জবাবে ৫০১ রান করেছিল টাইগাররা প্রথম ইনিংসে। সেই ইনিংসে ১৮১ রানে করেছিলেন মুমিনুল। সেই পারফরম্যান্সের কথা বিবেচনা করেই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানানো হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে।

 

খেলাধূলা