দশম জাতীয় সংসদ পরিচালনার জন্য সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি আগামীকাল মঙ্গলবার গঠন করা হতে পারে। এই অধিবেশনেই পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে।
দশম সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠক হয় গত ২৯ জানুয়ারি। পাঁচ দিন বিরতির পর আগামীকাল বিকেল চারটায় অধিবেশন আবার বসছে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সংসদের প্রতিদিনের কার্যসূচি কী হবে, তা নির্ধারণের জন্যই কার্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে।
জানতে চাইলে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গতকাল রোববার প্রথম আলোকে জানান, অধিবেশন কত দিন চলবে এবং কী নিয়ে আলোচনা হবে ইত্যাদি বিষয় সুরাহার জন্য কার্য উপদেষ্টা কমিটি দ্রুত গঠন করা দরকার। এ ছাড়া সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতিরা কে কোথায় বসবেন, সদস্যরা কে কোন বাসায় উঠবেন—এসব সমাধানের জন্যই সংসদ কমিটি গঠন করতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যেই এই দুই কমিটি গঠন করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে এই অধিবেশনেই অন্যান্য কমিটি গঠন করা হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সব কমিটির সদস্যদের মনোনয়নের জন্য চিফ হুইপ ও হুইপদের দায়িত্ব দিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কোন কমিটির সভাপতি কে হবেন, তা প্রধানমন্ত্রীই নির্ধারণ করবেন। অবশ্য সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পর মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিগুলো গঠন করা হবে।
পদাধিকারবলে স্পিকার কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হন। এ ছাড়া সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতাসহ অন্য জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা এই কমিটির সদস্য থাকেন। কোন অধিবেশনে কোন কোন বিল পাস হবে, অধিবেশনের মেয়াদ কত দিন হবে ইত্যাদি বিষয়ে এই কমিটি সিদ্ধান্ত দেয়। সাংসদদের আবাসন, খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা সংসদ কমিটির কাজ।
নবম সংসদে সংসদ-সম্পর্কিত ও মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত মোট ৫১টি সংসদীয় কমিটি গঠন হয়েছিল। এর প্রায় সব কমিটিই গঠিত হয়েছিল প্রথম অধিবেশনে। নবম সংসদে এসব কমিটি এক হাজার ৫০০-এর বেশি বৈঠক করেছিল, যা অতীতের যেকোনো সংসদের চেয়ে বেশি। সর্বাধিক ১২৯টি বৈঠক করে সরকারি হিসাব কমিটি এবং সর্বনিম্ন ১৫টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি।
ওই সংসদের বিভিন্ন কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন কমিটির ৪০ শতাংশের মতো সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে।
এর আগে অষ্টম সংসদে মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল সংসদ শুরুর ১৮ মাস পর। ওই সংসদে কমিটির বৈঠক হয়েছিল এক হাজার ২৪২টি।