বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র খেলা নিয়ে যতটা না আগ্রহ ঢের বেশি আগ্রহ স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে। সবাই একটা গরম খবরের অপেক্ষায়। বিশেষ করে মাশরাফি বিন মুর্তাজা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া নিয়ে যে বোমাটা ফাটিয়েছেন, বিসিবির তদন্ত কমিটি তার কি রিপোর্ট দেয় উৎসুক চোখগুলো সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
বিসিবি সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আনামকে চেয়ারম্যান করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সদস্য সচিব সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর এবং ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কাজের অগ্রগতিও আছে। আইসিসির দূর্নীতিদমন বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে মাশরাফি এরই মধ্যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। আকসু যে তথ্য পেয়েছে তা জানিয়েছে তদন্ত কমিটিকে। রোববার অভিযুক্ত শরিফুল ইসলা (প্লাবন)’কেও ডেকেছিলো তদন্ত কমিটি।
বিপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি অনুশীলনের ফাঁকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের সাজঘরে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান ঝরু, খালেদ মাসুদ পাইলট, জাবেদ ওমর বেলিম। ওই সময় মাশরাফিকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে খবর রটে। ওই ঘটনা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেন অধিনায়ক মাশরাফি। পরের দিন সংবাদমাধ্যমে খবর হওয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নেয় বিসিবি।
সেদিন ঢাকার সাজঘরে যে কয়জন সাবেক ক্রিকেটার ছিলেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তদন্ত কমিটি। মাঠে তাদের উপস্থিতির ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে। মাহবুবুল আনাম ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে থাকলেও কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়ে গেছেন কমিটির সদস্যদের ওপর। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আশা শিগগিরই তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।
বিপিএলকে সবধরণের অভিযোগ মুক্ত রাখতে বিসিবি যেমন চেষ্টা করছে তেমনি আকসুর দুই কর্মকর্তাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেলা চলাকালে সাজঘরে কোনরকম মোবাইল ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। প্রত্যেক সদস্যের মোবাইলফোন একজায়গায় জমা রাখতে হচ্ছে। যদিও এই মুহূর্তে আকসুর একজন মাত্র সদস্য ঢাকায়।