প্রিন্টের জন্য এক অভিনব উপায়ের কথা বলছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এ বিষয়ে তাঁদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কালীর পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে পানি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে কাগজে প্রিন্ট নেওয়া হবে সেটাতে আগে থেকেই অদৃশ্য রঞ্জক পদার্থ মেশানো থাকবে। এই পদার্থ পানির সংস্পর্শে রঙিন হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে কার্টিজে কালীর পরিবর্তে পানি দিতে হবে। আর প্রিন্টারটা যেকোনো প্রিন্টার হলেই চলবে।
এভাবে যে প্রিন্ট বেরিয়ে আসবে সেটা ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়া যাবে। এরপর কাগজ থেকে লেখা মুছে যাবে। ফলে ওই একই কাগজ আবারও প্রিন্টারে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আবার কেউ যদি ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না চান, তাদের জন্যও বিজ্ঞানীরা একটি যন্ত্র বের করার চেষ্টা করছেন। সেটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে প্রিন্ট করা লেখা পড়া শেষ হওয়ার কাগজটা মেশিনে ঢুকিয়ে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লেখাগুলো মুছে যাবে।
চীনের জিলিন ইউনিভার্সিটির রসায়নের অধ্যাপক সিন শিয়াও-অ্যান জাং গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অফিস-আদালতে প্রিন্ট দিয়ে বের করা কাগজের প্রায় ৪০ শতাংশই মাত্র একবার পড়ার পর ফেলে দেওয়া হয়। এ কারণে পানি দিয়ে প্রিন্ট করলে কাগজের অপচয় কমানো সম্ভব হবে। এতে যেমন অর্থ বাঁচবে, তেমনি বাঁচবে পরিবেশও। কারণ কাগজ উৎপাদনের জন্য ব্যাপকহারে গাছ কাটা পড়ে।
জাং বলেন, রঞ্জক পদার্থ মেশানো কাগজ ব্যবহার খুবই নিরাপদ। অবশ্য বিষয়টা এখনো প্রমাণিত হয়নি। তবে ইঁদুরের ওপর গবেষণা চলছে। চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাটি ‘নেচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রিন্ট করা কাগজ পুনরায় ব্যবহারের উপায় বের করার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই করছেন। তবে জনপ্রিয় হওয়ার মতো কোনো উপায় এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। দেখা যাক, চীনাদের এই গবেষণা সফল হয় কি না।