৫ জানুয়ারি এক তরফা প্রহসনের নির্বাচনের পর থেকে সারা দেশে গুপ্ত হত্যা, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, বিচার বর্হিভূত হত্যাসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পূর্ব ও পরর্বতীতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, সহিংসতা, বিচারবর্হিভৃত হত্যাকান্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ওপর হামলার নৈপথ্য জানতে ইতোমধ্যে দল ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতাদের সমন্বয় করে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।এ সকল কমিটি ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছেন।
কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, চটগ্রাম, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ,গাইবান্ধা সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সংঘটিত ১৪ জেলায় কিভাবে ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে, কখন ঘটেছে, কারা দোষী -এই তিন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ গঠিত চার তদন্ত কমিটি সংঘটিত জেলা সফর শুরু করেছেন । তদন্ত শেষে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবেন খালেদা জিয়ার কাছে।
সূত্র জানায়, ১ লা ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নিজে এই চার টিমের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের চূড়ান্ত দিন ধার্য করা হবে। এছাড়া ১৪ জেলার চিত্রের বাইরের জেলা ও মহানগরের চিত্র সংগ্রহ করার কাজ করছে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর। রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জেলা নেতাদের ফোন বা ই-মেইল করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোকে এ ব্যাপারে কাজ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিহত, আহত, গুম হওয়া নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহের কাজ করছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সারাদেশের গুপ্তহত্যা, গুম ও খুনসহ সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুব শীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এমনকি বিএনপির এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানানো হবে বলে জানা গেছে।