টেন্ডার বাণিজ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী!

টেন্ডার বাণিজ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী!

টেন্ডার জমা নিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় আওয়ামী লীগের এক গ্রুপের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে অপর গ্রুপ। এ নিয়ে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারপত্র ছিঁড়ে ফেলাসহ তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের হয়ে অপর পক্ষকে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিজি প্রেসের স্টেশনারি শাখার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংস্কার বিষয়ক টেন্ডার জমাদানের শেষ সময় ছিল সোমবার। এ নিয়ে বিজি প্রেস এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত গ্রুপ। অপর গ্রুপ জমা দিতে এলে তাদের কাছ থেকে একটি টেন্ডারপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে তারা।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক কাজল মিয়া, পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রমুখ।

অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর (উত্তর) যুবলীগের উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রফিক। এ গ্রুপে কার্যনির্বাহী সদস্য কায়সার আহমেদ বেনু, নাজমুল হোসেন আরিফ, শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইাসিম সুমন।

ছিঁড়ে ফেলা টেন্ডারপত্রটি ছিল রবিউল এন্টারপ্রাইজের নামে। তবে রফিক গ্রুপ নাজমা ট্রেডার্স ও স্বদেশ এন্টারপ্রাইজের নামে অপর দু’টি টেন্ডারপত্র জমা দিতে পেরেছে।

রফিক গ্রুপের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অন্যায়ভাবে আমাদের রাজনীতি ও সামাজিক কার্যক্রমের উপর হস্তক্ষেপ করছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি তার ছেলে দিয়ে বিজি প্রেসের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে আমরা কোনো টেন্ডারপত্র জমা দিতে গেলেই তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়।’

তারা আরো অভিযোগ করেন, ‘সোমবার টেন্ডার জমা দিতে গেলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গ্রুপকে পুলিশ সরাসরি সহায়তা করে। পুলিশ আমাদেরকে চলে যাওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেয়।’ পুলিশের এএসআই মালেক ও জুয়েল এ হুমকি দেয় বলে তারা অভিযোগ করেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে টেন্ডার জমা দেয়ার সময় শেষ হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গ্রুপ কেপিআই তালিকাভুক্ত বিজি প্রেসের ভেতরে ও ছাদে অবস্থান নেয়। বিকেল ৩টায় এ টেন্ডার ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

পুলিশের বাধা দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করেছে। কাউকে কোনো হুমকি দেয়নি।’

তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অতীতে টেন্ডার নিয়ে রফিক গ্রুপের লোকজন তাদের (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গ্রুপ) বাধা দিয়েছে। তখন তো আপনারা (সাংবাদিক) আমাকে ফোন দেননি। এখন কেন দিচ্ছেন?’

বাংলাদেশ