বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী। সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তবে কখন বসা হবে, এটা এখনো ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা যদি বোঝাতে পারি আমরা কাউকে ‘হার্ড’ করতে নয়, কাজ করতে এসেছি। তাহলেই রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কাজই শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এর আগেই আমাদের অযোগ্য বলাটা ঠিক নয়। বর্তমান কমিশন ইভিএম, ডিসিসি ও শরীয়তপুরের উপ-নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা সময় মতোই এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো বলে মনে করি। এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই বসবো আমরা।’
জাবেদ আলী বলেন,‘নতুন কমিশন আগের কমিশনের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। ওই কমিশনের একজন এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এসে তার সঙ্গে দিয়েছি। আগের কমিশন ডিসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলো আমরা তার কন্টিনিউশনেই কাজ করছি।’
‘নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন আইন ও সংস্কারের যেসব উদ্যোগ এর আগে কমিশন নিয়েছিলো, সেটাই বর্তমান কমিশন অব্যাহত রাখবে। সেক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করতে হলে এমনভাবে করতে হবে যাতে তা জনগণের চোখে লাগে। আমরা চেষ্টা করবো, ‘মেজরিটি’স স্যাটিসফেকশন’ রক্ষা করতে।’
নিজের সম্পর্কে জাবেদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবো। আমার যতটুকু মেধা-জ্ঞান ও যোগ্যতা আছে, তা দিয়ে সকলের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করবো।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি কাজই চ্যালেঞ্জের। সবকিছুরই চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। এখন সবার নজর আমাদের দিকেই থাকবে। তবে একটি কথা আছে ‘মোর দ্যান ইক্যুয়াল’। যেমন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এখানে অনেক বেশি কর্মী এবং তৎপরতার প্রয়োজন হবে সে অনুযায়ী আমরা বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজ করবো।’
কমিশনে যোগ দেওয়ার সময়ে তার নিজের সম্পদের বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, ‘আমার স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট ও সরকারের দেওয়া একটি প্লট ডেভেলপারদের দেওয়া আছে। এছাড়া সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৫০ লাখ টাকা রয়েছে। এর আগে দুই বছর দুদকে চাকরি করেছি।’
উল্লেখ্য, জাবেদ আলী একজন প্রথম শ্রেণীর প্রকৌশলী। সেনাকুঞ্জসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার রূপকার তিনি।