কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় দুঃসাহসিক ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মাটির নিচ দিয়ে সুরঙ্গ করে ব্যাংকের ভোল্টের ভিতর প্রবেশ করে অন্তত সাড়ে ১২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার দুপুর ৩টার দিকে ব্যাংকের রক্ষিত ভোল্ট খুলতে গিয়ে টাকা এলোমেলো অবস্থায় দেখে ব্যাংকের কর্মকর্তারা। পরে ম্যানেজার বিষয়টি থানায় অবহিত করে।
জানা গেছে, ব্যাংকের পূর্বপাশের একটি বাড়ি থেকে সুরঙ্গ করে মাটির নিচ দিয়ে ব্যাংকের ভোল্টে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। স্ট্রং রুমের টেবিলের উপর রাখা সাড়ে ১২ কোটি টাকা নিয়ে যায়। ব্যাংকে অন্তত আড়াইশ কোটি টাকা আছে বলে জানান সিনিয়র ক্যাশ অফিসার মহসিনুল হক।
ব্যাংকের ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর ভূইয়া জানান, ব্যাংকের দুই ক্যাশ অফিসার মহসিনুল হক ও হাসান আহমেদ মঈন তাদের দুই জনের কাছে ভোল্টের চাবি থাকে। রোববার দুপুরে ভোল্ট খুলে টাকা আনতে গিয়ে এ অবস্থা দেখতে পায় তারা।
ব্যাংকের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মার্জিয়া আক্তার জানান, ব্যাংক সংলগ্ন এবি ফার্নিচারের পিছনের একটি ছোট কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো সোহেল নামের এক ব্যক্তি। তার কক্ষ থেকেই সুরঙ্গ করে ব্যাংকের ভোল্টে প্রবেশ করা হয়। ওই বাড়ির মালিক ঢাকায় থাকেন। ঘটনার পর থেকে সোহেল পলাতক রয়েছে।
তিনি বলেন, রাতের বেলা ওই রুমে কয়েকদিন ধরে শব্দ শোনা যেত।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান জানান, ঘটনাটি দুঃসাহসিক। এই ঘটনার সঙ্গে একটি চক্র জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।