যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের একটি অন্যতম বৃহৎ হ্যাকিং নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এ হ্যাকিং নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েক ব্যক্তির এ হ্যাকিং নেটওয়ার্কে জড়িত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও নেটওয়ার্কটিতে জড়িত আছে ভারত, চীন ও রোমানিয়ার বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। সূত্র জানিয়েছে, আইপিএল-এর সঙ্গে জড়িত কয়েক ব্যক্তি এ হ্যাকিং নেটওয়ার্কের প্রধানের দ্বারস্থ হয় তাদের সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে বিরোধরত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করতে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছে তদন্তদল।
হ্যাকিং নেটওয়ার্কটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন মুম্বাই, পুনে ও গাজিবাদের মোট চার স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় অমিত বিক্রম তিওয়ারিকে। ৩১ বছর বয়সি অমিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্নেলের ছেলে।
বিভিন্ন সময় বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের নানা কাজে হ্যাকিং নেটওয়ার্কটির দ্বারস্থ হয় বলে জানা গেছে। এর তালিকায় রয়েছে বিয়ে নিয়ে বিরোধ থেকে শুরু করে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এ কারণে একে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হ্যাকিং স্ক্যান্ডাল বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
নেটওয়ার্কটির প্রধান অমিত হলেও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হ্যাকারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এ নেটওয়ার্ক চালাতেন। কোনো ওয়েবসাইট, ই-মেইল অ্যাকাউন্ট বা নির্দিষ্ট কোনোকিছু হ্যাকিং করতে আসা অধিকাংশ ক্লায়েন্টই ছিল ভারতের বাইরের। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে তারা অর্থ গ্রহণ করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভারতের সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান, ‘অভিযোগ রয়েছে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত হ্যাকিং করতে তারা ২৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত দাবি করতো।’