বিশ্বকাপের বিরোধিতায় উত্তাল ব্রাজিল

বিশ্বকাপের বিরোধিতায় উত্তাল ব্রাজিল

বিশ্বকাপের বিরোধিতা করে ব্রাজিলীয় শহর সাও পাওলোর রাস্তায় হাজারো প্রতিবাদী মানুষের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আগামী ১২ জুন থেকে ব্রাজিলে শুরু হবার কথা রয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত আসর।

প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার। পাঁচ মাসেরও কম সময় হাতে রয়েছে আয়োজকদের কাছে। গত বছর বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত কনফেডারেশন কাপের সময়ও দেশের আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার মাঝে এই ধরনের বড় ক্রীড়া আয়োজনের প্রতিবাদে ব্রাজিলের রাস্তায় হাজার হাজার জনগণ নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।

বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে বিশ্বকাপের বিরোধিতা করে তা পুরো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের বিপক্ষে তারা গতকাল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্বকাপ কিছুতেই হতে দেয়া হবে না’ এই স্লোগানের ব্যনারে তারা প্রচারণা শুরু করেছে।

অন্য আরেকটি বিরোধী দল তাদের টুইটারে লিখেছে, ‘ফিফা দেশে ফিরে যাও।’ ইতিমধ্যেই ফিফা বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা শুরু করেছে বলে সূত্রমতে জানা গেছে। উল্লেখ্য সংঘবদ্ধ আন্দোলন, প্রতিবাদের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে ব্রাজিলিয়ানরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে।

যদিও সাও পাওলোতে প্রতিবাদের ভাষা ছিল বেশ ধীরস্থির। শহরের আর্ট মিউজিয়ামের কাছে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকে। তার মধ্যে একটি অন্যতম প্ল্যকার্ডে লেখা ছিল, ‘ব্রাজিল জেগে ওঠো, একজন শিক নেইমারের তুলনায় দেশের জন্য অনেক বেশি উপযুক্ত।’

তবে অন্য একটি স্থানে বিরোধীরা রাস্তার টায়ার ও বিভিন্ন গার্বেজ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ শুরু করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এর মধ্যে কিছু কিছু বিক্ষোভকারী আবার ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা করলে তা নিয়েও পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে বিশ্বকাপের বিরোধীতাকারীদের মধ্যে কিছু কিছু নৈরাজ্যবাদীও ঢুকে পড়েছিল এবং পরবর্তীতে পুলিশ এদের মধ্যে থেকে ৩০জনকে আটক করেছে।

এদিকে গত বছর জুলাইতে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হওয়া রিও ডে জেনেইরোতে গতকাল কোপাকাবানা বিচে দুই শতাধিক জনগন বিশ্বকাপের বিরোধিতা করে স্লোগান দেয়। এছাড়া রাজধানী ব্রাসিলিয়া এবং সেন্ট্রাল সিটি গিওয়ানিয়ায় ছোট ছোট বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

আন্তর্জাতিক খেলাধূলা