বার্নাব্যুতে গতকাল ম্যাচটা শুরু হয়েছিল ব্যালন ডি’অরের ঝলকানি দিয়ে। সোনার বল হাতে মাঠে এসেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ভক্তদের শুধু স্মারকটাই দেখাননি, কেন তিনি বর্ষসেরা ফুটবলার সেটা মাঠেও প্রমাণ করেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার স্বাদটা যে কেমন, সেটা বোধ হয় ভুলতেই বসেছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের মৌসুমে তো নয়ই, গত মৌসুমেও কখনো শীর্ষস্থানটা দখল করতে পারেনি।
তবে গতকাল গ্রানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে অল্প সময়ের জন্য হলেও শীর্ষে উঠে এসেছেন কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। অবশ্য আজ রাতে বার্সেলোনা বা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ জয় পেলেই আবার শীর্ষস্থান থেকে নেমে যেতে হবে রিয়ালকে।
২১ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ৫৩ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো।
প্রথমার্ধটা খুব একটা ভালো না কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে দারুণ একটা গোল করেছেন রোনালদো। গ্রানাডার পেনাল্টি বক্সে বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের জটলার মধ্যেও নির্ভুল শটে বল পাঠিয়েছেন জালে। ৭৪ মিনিটে আরেকটি গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
২০১১-১২ মৌসুমে শেষবারের মতো লা লিগা শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর থেকে আর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠা হয়নি লস ব্লাঙ্কোসদের। গত মৌসুমে তো ১৫ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। আর এবারের মৌসুমে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভালোভাবেই যোগ দিয়েছে রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বার্সা আর অ্যাটলেটিকোর দ্বিমুখী লড়াই-ই চলেছে এবারের মৌসুমের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু নিজেদের শেষ ম্যাচে দুই দলই ড্র করায় শীর্ষে ওঠার সুযোগ মিলেছে রিয়ালের।
ম্যাচশেষে রোনালদো বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে এটা ছিল আমার জন্য একটা বিশেষ দিন। ভক্তদের আমি ব্যালন ডি’অরটা দেখাতে পেরেছি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল হিসেবে আমরা আনন্দময় রাত কাটাব আর আগামীকাল দেখব অন্য দলগুলো কী করে।’