‘সন্তান ফেরত দিতে পারব না, তবে নিরাপত্তা দেব’

‘সন্তান ফেরত দিতে পারব না, তবে নিরাপত্তা দেব’

‘আপনাদের সন্তান ফেরত দিতে পারব না, তবে আপনাদের নিরাপত্তা দেব। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যা করা দরকার তাই করব। দেশকে জঙ্গিবাদী হতে দেব না।’ এভাবেই গাইবান্ধার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে নির্বাচনকে ঘিরে হামলা ও নির্যাতনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশার বাণী শোনালেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১টার দিকে গাইবান্ধা শহরের অদূরে তুলশীঘাট হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর তিনি গাইবান্ধা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে গিয়ে সহিংসতায় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় হতাহত ও ক্ষতির শিকার হয়েছে, এমন ৭৫টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। নিহত তিনজনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকে নিরাপত্তা দেব।’ আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধানন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে জঙ্গিবাদী হতে দেব না।’
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যতটা কঠিন হওয়া দরকার, ততটাই কঠিন হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় হতাহত ও ক্ষতির শিকার হয়েছে, এমন ৭৫টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। নিহত তিনজনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মানুষ হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়। বিএনপি যা করেছে, সেটা রাজনীতি নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকানোর নামে প্রিসাইডিং অফিসার ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের হাত থেকে নারীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। এত বীভৎস দৃশ্য কখনো দেখিনি। বিএনপি যা করেছে তা জঙ্গিবাদী ঘটনা।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এই বিচার ও আইন মানবে না, তা হয় না। যেভাবেই হোক সন্ত্রাসীদের বিচার করা হবে।

জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর