আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের উপড় অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

র‌্যাব, বিজিবি ব্যবহার করে জনগনকে দাবিয়ে রাখার কড়া সমালোচনা করে বলেন তিনি, বর্তমান সরকার পাক বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। এ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেটও নেই। তারা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

পুলিশ যৌথ বাহিনীর নামে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করছে, গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এখন সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্ঠি করেছে সরকার। গ্রেফতারের ভয়ে হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে, অবিলম্বে কাজ বন্ধ করুন।

আজ সকালে সদর উপজেলার গড়েয়া ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগস্ত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন শেষে পৃথক পৃথকস্থানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চায়। এর আগে বাকশাল কায়েম করেছিল, এবারে ভিন্ন আংগিকে সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ এবার গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে যে প্রহসনের নির্বাচন করেছে, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। বিএনপি কোনো কিছুই হারায়নি।

তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের নামে তারা যৌথ বাহিনী নামিয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে এ পর্যন্ত ২৯৪ জনকে হত্যা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা- এটা ভয়াবহ ও ভয়ংকর, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে নির্বাচন কখনই নিরপেক্ষ হয় না। কাজেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া এ সংকট নিরসন হবে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে মাত্র ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। আর ভোটের উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বিদেশীরা বলেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলেও বাংলাদেশ হেরেছে।

পরে নিহত ও আহতদের নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা প্রদান করেন। এসময় জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি