প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক এবং এই এলাকার উন্নয়নে যে বরাদ্দ তা অপ্রতুল। তাই এই এলাকার উন্নয়নে আরো বেশি বরাদ্দ পেতে ব্যক্তিগতভাবে আমিও অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবো।’
রোববার রাঙামাটিতে নিজের নামে করা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এইচটি ইমাম সড়ক’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ভারত বিরোধী প্রচারণাকারীরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং এ কারণে বার বার বাংলাদেশ এক পা এগিয়েছে তো দুই পা পিছিয়েছে। উন্নয়নের কোন ধারাবাহিকতা ছিল না।’
গত তিন বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের কাছে বিজ্ঞান ভিত্তিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছে।’
সম্প্রতি শহরের শেষ প্রান্তে কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে জেলা প্রশাসক বাংলো থেকে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ও এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের নামে নামকরণ করা হয়।
সড়কের নামফলক উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবদান রেখেছে। এ অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে পার্বত্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নানিয়ারচরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
পরে এইচটি ইমাম রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।