চক্রান্তের চোরাপথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী আওয়ামী লীগ সরকার আবারো বাকশালী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন করে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে মৃতপ্রায় অবস্থায় নিয়ে গেছে। এদের কাছে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার কখনই নিরাপদ থাকেনি। এই নব্য বাকশালী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ও কঠিন লড়াইয়ে নামতে হবে বলে ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আজ শুক্রবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এই বাণীতে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল‘ কায়েম করে। তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এক অগণতান্ত্রিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করে।
তিনি বলেন, এই একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক-ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে শুধু তাদের সমর্থক চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়।
দীর্ঘদিনের সংগ্রামে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ভূলুণ্ঠিত ও ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে উল্লেখ করে চেয়ারপারসন বলেন, এমনি এক দুঃসময়ে ৭৫ এর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত শ্রোত-ধারায় শহীদ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে স্বেচ্ছাচারিতার লৌহকপাট ভেঙে গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেন। এরপর শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা। নিশ্চিত হয় মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।
তিনি বলেন, তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে এখন একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না। বর্তমান সরকার বিরোধী দলের প্রতি আচরণে কখনই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি।
বেগম খালেদা জিয়া নব্য বাকশালী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ও কঠিন লড়াইয়ের আহ্বান জানান।