সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক আর খুব বেশিদিন তার ‘জাদু’ ধরে রাখতে পারবে না বলেই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এক গবেষণার ফলাফল দেখিয়ে তারা বলছেন, মারাত্মক সংক্রামক রোগ যেমন হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে হারিয়ে যায়, তেমনি ফেসবুকের প্রতিও মানুষ দ্রুত আগ্রহ হারাতে শুরু করবে।
ফেসবুকে সর্বোচ্চ সময় দেন এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে এই গবেষকরা মনে করছেন।
বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ‘জীবন চক্রকে’ রোগতত্ত্বের মডেলের সঙ্গে তুলনা করে প্রিন্সটনের মেকানিক্যাল অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এই গবেষণা চালায়। গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ১৭ জানুয়ারি। অবশ্য সংশ্লিষ্ট অন্যরা এই গবেষণার বিষয়ে কী ভাবছেন, তা জানা যায়নি।
রোগতত্ত্ব ও জীবাণুর জীবন চক্রের মডেলের সঙ্গে তুলনা করে গবেষকরা বলছেন, একটি রোগের জীবাণু নতুন করে কারো দেহে বংশ বিস্তার করতে না করতে পারলে ওই রোগের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। তেমনি ফেসবুকের নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও এক সময় কমে আসবে এবং বর্তমান ব্যবহারকারীরা আগ্রহ হারাতে থাকবে।
মার্ক জাকারবার্গ প্রতিষ্ঠিত ফেসবুক মাত্র ১০ বছরে যে মাত্রায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ধরন বদলে দিয়েছে- সে বিষয়টিতেই ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। ফেসবুক ‘আসক্তি’ এবং সমাজের ওপর এর প্রভাব নিয়েও বিভিন্ন স্থানে গবেষণা চলছে। বর্তমানে বিশ্বের ১২০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে, যার শুরুটা হয়েছিল ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।