যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আবদুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
আসামি আবদুল হান্নান জামিন পাওয়ার পর গত বছরের ৭ আগস্ট থেকে পলাতক। মামলার আরেক আসামি হান্নানের মা বারেকা খাতুনের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। হান্নান চন্দনাইশ জাফরাবাদ চরপাড়ার মো. আমির হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে আবদুল হান্নানের সঙ্গে একই গ্রামের নার্গিস আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নার্গিসকে চাপ দিচ্ছিলেন হান্নান। যৌতুক না পেয়ে ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নার্গিসকে গলা টিপে হত্যা করেন হান্নান। হত্যার পর নার্গিসকে বাড়ির পাশের আখখেতে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার পরদিন ২০ এপ্রিল নার্গিসের বাবা দুদু মিয়া বাদী হয়ে হান্নানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচার শেষে এ মামলার রায় দেওয়া হয়।
মামলার সরকার কৌঁসুলি (পিপি) চন্দন কুমার তালুকদার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ হান্নানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক)/৩০ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। আদালত আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হান্নান বর্তমানে পলাতক। এ বিষয়ে পিপি জানান, মামলার পর মূল আসামি হান্নান অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। পরে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। ৭ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক।