৩০ শিক্ষক এর পদত্যাগ

৩০ শিক্ষক এর পদত্যাগ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ ৩০ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক আফরোজা পারভীনকে অপমানের প্রতিবাদসহ কয়েকটি কারণে তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, ছাত্রবিষয়ক সহকারী পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সহকারি প্রভোস্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ছিল। সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আফরোজা পারভীনও উপস্থিত ছিলেন। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক মো. মোস্তফা সরোয়ার সভায় আফরোজা পারভীনের অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সভায় তিনি বলেন, চারুকলায় প্রায় দুই মাস আগে আমিরুল মোমেনিন নামে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক যোগ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ইনস্টিটিউটের পরিচালক করার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি। সে কারণে সভায় ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক উপস্থিত থাকতে পারেন না বলে দাবি করেন তিনি। সভায় উপস্থিত উপাচার্যসহ একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা চুপ ছিলেন বলে জানা গেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আফরোজা পারভীন গতকাল বুধবার উপাচার্যের কাছে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এদিকে আফরোজা পারভীনকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অপমান করার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অনির্বাণ মোস্তফা বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে অপমানের প্রতিবাদ এবং চারুকলাকে পূর্ণাঙ্গ ডিসিপ্লিন করতে বাধাদানের প্রতিবাদসহ ৩/৪ টি কারণ উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যরাও একই কারণে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। আফরোজা পারভীন বলেন, উপাচার্যের উপস্থিতিতে এ ধরনের আচরণ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। সে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে মোস্তফা সরোয়ার বলেন, তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যা বলেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এবং প্র্যাকটিস অনুযায়ী বলেছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, তার দপ্তরে কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তখন তিনি দপ্তরে ছিলেন না। আগামী রোববার ফাইল দেখে বলতে পারবেন কতজন এবং কি কারণে পদত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফায়েকউজ্জামান বলেন, কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা চেষ্টা করছেন।

জেলা সংবাদ বাংলাদেশ