বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “গোলাপি রে গোলাপি, ট্রেন তো মিস করলি।”
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া জামায়াতের আমির। উনি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বাঁচাতে চান। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। তিনি নির্বাচনের ট্রেন ফেল করেছেন।”
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় অভয়নগরের নওয়াপাড়ার শংকরপাশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আর কিছু করতে না পারুক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। উনি (খালেদা জিয়া) যে বক্তৃতা দেন তার প্রত্যেকটা লাইন মিথ্যা।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, “ওনার (খালেদার) যে কয়টা জন্মদিন তা তিনি নিজেই জানেন। বিয়ের কাবিন, স্কুলের ভর্তি, পাসপোর্টে জন্মদিন আলাদা আলাদা। ওনার ৫টা জন্মদিন। উনি নিজের জন্মদিন বদলতাতে গিয়ে স্বামীর জন্মদিনও বদল করেছেন। তাছাড়া গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের তারিখ বদল করে বলেছেন ৫ মে নির্বাচন হয়েছে। এর একটি কারণ আছে, তিনি ৫ মে হেফাজতের মাধ্যমে শাপলা চত্ত্বরে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই ৫ মে তার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।”
গোপালগঞ্জের মানুষের প্রতি খালেদা জিয়ার রাগের কারণ জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপালিরা কপালি হয়। তার (খালেদা জিয়া) কেন এ জেলার মানুষের ওপর এত রাগ জানি না।
এসময় মালোপাড়ায় নাশকতা সৃষ্টিকারীদের হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সরকার বরদাস্ত করবে না। নৈরাজ্য বন্ধে যতটা কঠোর হওয়া দরকার সরকার ততোটাই কঠোর হবে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ যে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। সেই নির্বাচন বন্ধ করতে বিএনপি নেত্রী হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যা করেছে। ট্রাকচালক, বাসচালক, গাড়ির মধ্যে ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি অবলা গরুও।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যশোর-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোস্তফা রশিদী সুজা, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, খুলনার সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার শিকার অভয়নগরের মালোপাড়া পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।