তেহরিক-ই-তালিবান অব পাকিস্তান এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তানের তিন জঙ্গিকে একটি ল্যাপটপ ও বোমা বানানোর নির্দেশিকাসহ (ম্যানুয়াল) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ(ডিবি)। তারা সবাই মায়ানমারের বংশোদ্ভূত।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমি গেট থেকে তাদের আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানএ তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলো- পাকিস্তানের মালির জেলার আলী আহম্মদের পুত্র মেহমুদ (২৬), কৌরঙ্গি জেলার উসমান (২৩), পিতা-মো. হাশেম এবং একই জেলার ফকরুল হাসান (৫০), পিতা- দরবেশ আলী।
তাদের মধ্য থেকে মেহমুদ ও উসমানের কাছ থেকে কোনো প্রকার ভিসা-পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি এবং ফকরুল হাসানের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার হলেও তাতে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। তারা সবাই টেকনাফ অঞ্চলে যাওয়ার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে।
আটককৃতরা পাকিস্তানের ওয়াজিরস্তানের সীমান্ত এলাকায় ‘তেহরিক-ই-তালিবান অব পাকিস্তান’-এর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার বোমা তৈরি, বোমা হামলা, বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, যুদ্ধের কৌশল সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিষয়ে উল্লেখিত জঙ্গি সংগঠনটির একজন তরুণ নেতা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। পরবর্তী সময় তারা মায়ানমার ভিত্তিক ‘তেহরিক-ই-আজাদি আরাকান’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে যুদ্ধ করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হয় বলে তারা জানায়।
বাংলাদেশে তাদের অবস্থানের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
তাদের টেকনাফ যাওয়ার উদ্দেশ্য এবং এদেশে তাদের অন্য সহযোগীদের পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে কিংবা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটকের জন্য অভিযানে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এক পর্যায়ে রোববার আটক করতে সমর্থ হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।