সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত বলার মতো কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি গোয়েন্দারা। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা করার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
রোববার সকালে উর্দ্ধতন চার কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি চৌকস গোয়েন্দা দল সাগর-রুনির ভাড়া বাসা শাহরিয়ার রশিদ লজে গিয়ে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব আলামতের বিবরণ এখনই প্রকাশ করা হবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মারুফ হাসান, ডিসি (ডিবি) উত্তর মাহবুবুর রহমান, ডিসি তেজগাঁ ইমাম হাসান, এডিসি (ডিবি) উত্তর মনিরুজ্জামান সকাল দশটার দিকে মেহেরুন রুনির মা, রুনির ছেলে মেঘ ও রুনির ভাই নওয়াজেশ আলম রোমানকে নিয়ে সাগর-রুনির ফ্ল্যাটে যান।
দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ১১টার দিকে বেরিয়ে আসেন তারা।
এ সময় মারুফ হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কোন কিছু বলা যাবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
ইমাম হাসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপনাদের দেওয়ার মতো কোন ভালো খবর নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। তবে সেগুলো কি কি তদন্তের স্বার্থে তা বলবো না।’
তিনি এও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বলার মতো কোন ক্লু আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। তবে আমরা মাঠে আছি। আমাদের বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে।’
মাহবুবুর রহমানও অনেকটা একইরকম বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভালো কোন খবর নেই।’
তদন্ত শেষে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের গাড়িতে করে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, রুনির মা ও ছেলে অসুস্থ। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।