শন মার্শ যখন ক্রিস জর্ডানকে মিড উইকেট দিয়ে সীমানা ছাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করলেন, অ্যালিস্টার কুককে দেখাচ্ছিল বিধ্বস্ত এক জনপদের মতো। অস্ট্রেলিয়ায় এসে দুই মাস ধরে ইংল্যান্ডের কপালে যা জুটছে, তাতে জীবনানন্দের ওই পঙক্তিটি আওড়াতে পারেন ইংলিশ অধিনায়ক—‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক।’
কুক ক্লান্ত হারতে হারতে! অ্যাশেজ তো গেছেই, ইংলিশরা প্রবোধ মানতে চাইছিল ওয়ানডে সিরিজে। সেটি আর হলো কই? আজ সিডনিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হেরে সান্ত্বনার আশাটুকুও নিভে গেল কুক বাহিনীর।
ইংল্যান্ডের বেঁধে দেওয়া ২৪৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে হেসে খেলেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্শের জোড়া ফিফটিতে ৬০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে মাইকেল ক্লার্কের দল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ওয়ার্নারের ব্যাট এদিনও কথা বলেছে ভালোভাবেই। বাঁ হাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ (৭০ বলে)। ম্যাচ সেরাও তিনি। যেহেতু ওয়ার্নার ম্যাচের নায়ক। ফলে মার্শকে বলতে হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব নায়ক। মার্শের অপরাজিত ৭১ (৮৯ বলে) কেবল ম্যাচ নয়, ইংল্যান্ডের সিরিজ পরাজয়ও নিশ্চিত করেছে। আর মার্শকে শেষ পর্যন্ত সহায়তা করে যান হাডিন। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। ইংল্যান্ডের পক্ষে জর্ডান, বোপারা ও স্টোকস নেন ১টি করে উইকেট।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ব্রিসবেনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পরাজয় দিয়ে শুরু। এরপর অবিরত চলছেই। এ মুহূর্তে ইংলিশদের কাছে ‘জয়’ যে ডুমুরের ফুল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর পর আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হেরে ইংল্যান্ড যেন মধ্য সমুদ্রে দিগভ্রান্ত তরী। চতুর্থ ওয়ানডে শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি, পার্থে। দেখা যাক, কুকরা অবশিষ্ট ‘সম্মানটুকু’ রক্ষা করতে পারে কি না।