লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শেবহা শহরের একটি সামরিক ঘাঁটি অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা দখলের পর আজ সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সামরিক ঘাঁটি দখলের পর লিবিয়ার জাতীয় সংসদ জরুরি অধিবেশনে বসে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে সংসদ দেশটির সামরিক বাহিনীকে সতর্কাবস্থায় রেখেছিল, তারপরও অস্ত্রধারীরা শেবহা শহরের কাছে অবস্থিত তামাহিন্দ সামরিক বিমান ঘাঁটি দখল করে নেয়। ওই এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রাজিক আল-শাবাহি রাজধানী ত্রিপোলিতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা ঘাঁটিটি দখলের পর বিমানবাহিনী সেখানে বোমাবর্ষণ করে। তারপরই ঘাঁটিটি আবার দখলমুক্ত হয়েছে।
শাবাহি বলেন, বিমান হামলার পর বিদ্রোহীরা মরুভূমির দিকে পালিয়ে যায় এবং সেনাবাহিনী তাদের ধরার জন্য পিছু ধাওয়া করে। বিমান ঘাঁটি দখলের জন্য লিবিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত লোকজনকে দায়ী করেন। তবে সরকার লিবিয়ার বিপ্লব ও জনগণকে রক্ষার জন্য সবকিছু করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গতকাল লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী জেইদান রাষ্ট্রীয় টেলিভশনে ঘোষণা করেন যে, দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং গত কয়েক দিনের সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে আরো সেনা পাঠানো হয়েছে।