মেয়াদোত্তীর্ণ এবং চলতি মাসে মেয়াদ শেষ হবে এমন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ইসির বৈঠক শেষে ৪র্থ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এবার দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা জোরদারে একাধিক দিন বা অন্তত ৭ দিন ধরে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ইসি সূত্র জানায়, বিশেষ এ বৈঠক শেষে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। কারন উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান থাকায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ ও নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক।
নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ জানান, নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। মোট ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে ১১৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তবে শনিবার ইসি সূত্র জানিয়েছিলো, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের যেকোনো দিন উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, দেশের ৪৮১টি উপজেলা ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে ১১৫টি, মার্চে ২২৩টি, এপ্রিলে ৩৫টি, মে মাসে ৮৫টি ও জুন মাসে ১৮টি উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। বাকিগুলো জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হবে।
এর আগে, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একযোগে একই দিনে ভোট করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি।
ইসি সচিবালয় জানায়, তফসিল ঘোষণার আগে প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করতে ৪৫দিন লাগবে। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন দাখিল, বাছাই, বাছাইয়ের পর আপিল, আপিল নিষ্পত্তি, প্রত্যাহার, প্রচারণা ও ব্যালট পেপার মুদ্রণ এবং ভোটের জন্য একদিন সময় লাগবে।