সিনেমা দর্শকরা সাধারণত থ্রি ডি কিংবা ফোর ডি মুভির সাথে পরিচিত। কিন্তু নাইন ডি মুভি অনেকের কাছেই অপরিচিত। বাণিজ্যমেলায় একটি ভ্রাম্যমাণ বিনোদন কেন্দ্রে প্রদর্শিত হচ্ছে নাইন ডি মুভি। বিনোদন কেন্দ্রটিতে তাই উপচে পড়া ভিড়।
শুক্রবার বাণিজ্যমেলা যেন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মেলার আগত দর্শনার্থীরা উপভোগ করছেন চলচ্চিত্রের নতুন ভার্সন নাইন ডি মুভি। বিনোদন কেন্দ্রটিতে ছোট ছোট এনিমেটেড মুভি দেখানো হচ্ছে যেখানে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও উপভোগ করছেন।
নাইন ডি মুভির বিনোদন কর্মী মো. রাশেদ জানান, প্রযুক্তির নতুন কিছু পণ্য নিয়ে আমরা এবারই প্রথম নাইন ডি এনিমেটেড মুভি নিয়ে মেলায় এসেছি। প্রথমবার হলেও আমরা প্রচুর দর্শক পাচ্ছি। অনেক আগ্রহ নিয়ে দর্শকরা আমাদের এ মুভিগুলো দেখছেন।
টিকিটের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”আমরা জনপ্রতি দেড়শ’ টাকা নিচ্ছি। অস্থায়ী এ বিনোদন কেন্দ্রে আমরা একবারে মোট ৬ জনকে মুভি দেখাতে পারি। প্রতিবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে নাইন ডি মুভি দেখানো হচ্ছে।”
রাশেদ বলেন, ”আমাদের সংগ্রহে শতাধিক এনিমেটেড মুভি আছে। সর্বোচ্চ ২০ মিনিট এবং সর্বনিম্ন ৮ মিনিটের এসব মুভি আমাদের এখানে দেখানো হচ্ছে। বড় মুভি দেখালে একবার টিকিটের জন্য আমরা একটা মুভি দেখাচ্ছি এবং ৮ মিনিটের মুভির জন্য আমরা দুটি মুভি দেখাচ্ছি।”
বিনোদন কেন্দ্রে আসা হাবিব বলেন, ”আগে থ্রি ডি-ফোর ডি দেখেছি। কিন্তু নাইন ডি এ প্রথম দেখলাম। আমি ছোট ছোট দুটি মুভি দেখে খুবই উপভোগ করেছি। তবে টিকিটের মূল্য এখানে একটু বেশি।”
দর্শনার্থীরা জানান, নাইন ডি এনিমেটেড মুভি খুবই অসাধারন। আগুন-পানি, আকাশ-বাতাস, ঝড়-তুফান, পাহাড়-পর্বত, গ্রহ-নক্ষত্র, পশু-পাখি, সাগর-মহাসাগর বাস্তবের মতো অনুভব করা যায়।
বিনোদন কেন্দ্রের কর্মী তুহিন জানান, এ নাইন ডির বিশেষত্ব হলো বাতাস, তুষার, ধোঁয়া, বুদবুদ, আগুন, পানি, কম্পন, আলোকসজ্জা এবং ঘূর্ণায়মান চেয়ার।
ডি-বক্স ডিজিটাল টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান মেলায় এ নাইন ডি বিনোদন কেন্দ্র এনেছে। এছাড়া ধানমন্ডি এবং উত্তরায় এ প্রতিষ্ঠানের দুটি শো-রুম রয়েছে।