দলীয় ৪৪ ওভারের শেষ বলে মিচেল জনসন আউট হয়ে যখন সাজঘরে ফিরছেন, তখন জয়োৎসবের মঞ্চ তৈরি করে নিতে শুরু করে অ্যালিয়েস্টার কুকের ইংল্যান্ড। কেননা জয় পেতে তখন প্রয়োজন দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ৬ ওভারে ৫৭ রান। ওভারপ্রতি দরকার ৯.৫০ রান! দশম উইকেটে যা অনেকটাই কঠিন। কিন্তু সে কাজটাই করেছেন দুই অসি টেলএন্ডার জেমস ফকনার ও ম্যাকেই। দুজনে ৩ বল হাতে রেখেই অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের ৩০১ রানের টার্গেট টপকে যায় ১ উইকেট হাতে রেখে। অসাধারণ এক ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংলিশরা হেরেছিল ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরির কাছে। গতকাল ব্রিসবেনে হারল ফকনারের অতিমানবীয় ইনিংসে। ৪৪ ওভারে রবি বোপারার বলে জনসন সাজঘরে ফেরার পর মনে হচ্ছিল ম্যাচে জিততে শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি ইংল্যান্ডের। কিন্তু ফকনার ও ম্যাকে দশম উইকেট জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন মাত্র ৩৩ বলে, যাতে ম্যাকের রান মাত্র ২। বাকি সব রান ফকনারের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১২ রান। ব্রেসনানের প্রথম তিন বলে তিন বাউন্ডারিতে তা তুলে নেন ফকনার। ৬৯ রানের ম্যাচ-সেরা ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৪৭ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। ম্যাচ জেতানোর পর ফকনার বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে দলের জয়ে সহায়তা করতে পেরে।’ অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ‘জেমস ফকনার এর আগেও এমন জয় উপহার দিয়েছে দলকে। ভারত সফরে দলকে জিতিয়েছিল, যা আমি টেলিভিশনে দেখেছিলাম।’ জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশ কুক বলেন, ‘আমরা একটি অবিশ্বাস্য ইনিংসের কাছে হারলাম।’ প্রথমে ব্যাট করে ইউয়ান মরগানের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩০০ রান করে ইংল্যান্ড। ওপেনার ইয়ান বেল করেন ৬৮ রান। মরগানের ১০৬ রানের সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯৯ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায়। বেলের ইনিংস ছিল ৮৪ বলে ৫ ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৩০০/৮, ৫০ ওভার (অ্যালিয়েস্টার কুক ২২, ইয়ান বেল ৬৮, ইউয়ান মরগান ১০৬, রবি বোপারা ২৪, স্টোকস ৪৯ । মিচেল জনসন ১/৫৯, কুল্টার-নাইল ২/৫৫, ফকনার ২/৭৩)।
অস্ট্রেলিয়া : ৩০১/৯, ৪৯.৩ ওভার (ডেভিড ওয়ার্নার ১৮, শ্যন মার্শ ৫৫, জর্জ বেইলি ২৪, ম্যাঙ্ওয়েল ৫৪, হ্যাডিন ২৬, ফকনার ৬৯*। জর্ডান ২/৫৩, ব্রেসনান ২/৬৪, রুট ২/৪৬)।