‘আদালতে সুবিচার পাবে মানুষের এ প্রত্যাশা যেন ঠিক থাকে’

‘আদালতে সুবিচার পাবে মানুষের এ প্রত্যাশা যেন ঠিক থাকে’

‘ন্যায় বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল হলো আদালত। এখানে মানুষ সুবিচার পাবে এটাই আশা করে। আর মানুষের এ প্রত্যাশাটা যেন ঠিক থাকে।’

বিচারকদের কাছে এ দাবি রেখেছেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।

শনিবার বেলা বারটার দিকে নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

দরিদ্র মানুষ যারা আর্থিকভাবে মামলা চালানোর সুযোগ পাচ্ছেন না তাদের ভালভাবে এ সুযোগ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সংস্থা নীলফামারীর চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মিঞা মুমাম্মদ আলী আকবর আজিজী, নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, সরকারি কৌশুলি আলিম উদ্দিন বসুনিয়া, পাবলিক প্রসিকিউটর অক্ষ্ময় কুমার রায়, বার সমিতির সভাপতি তুষার কান্তি রায় ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ।

সিনিয়র সহকারী জজ কামরুন্নাহারের সঞ্চালনায় নীলফামারীর উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সরকারি আইনগত সহায়তা সম্পর্কে অবহিতকরণ এ কর্মশালায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, সদস্য, সাংবাদিক, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়ররা অংশ নেন।

জেলা ও দায়রা জজ হাসানুজ্জামান কর্মশালায় জানান, নীলফামারী জেলায় আইনগত সহায়তা কমিটির কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। নীলফামারী বারের আইনজীবীদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ জন প্যানেল অ্যাডভোকেট নিয়োগ করা হয়েছে। কার্যক্রম শুরুর পর ডিসেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত এ কমিটির মাধ্যমে ১ হাজার ৫৬২টি মোকদ্দমার বিচার প্রার্থীকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানী মোকদ্দমা ৭৭০টি ও ফৌজদারী মোকদ্দমা ৭৫৬টি। এর মধ্যে ৬৪১ জন পুরুষ ও ৮৮৫ জন নারী বিচার প্রার্থী সহায়তা পেয়েছেন।

রাজনীতি