তৃতীয় শক্তি হবে জাতীয় পার্টি: এরশাদ

তৃতীয় শক্তি হবে জাতীয় পার্টি: এরশাদ

জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, ‘তৃতীয় শক্তি হিসেবে  জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কেউ নেই। তোমরা পাশে থাকলে জাতীয় পার্টি হবে তৃতীয় শক্তি’।

শনিবার দুপুরে বনানীস্থ জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র ও যুব মহাজোটের সঙ্গে এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংগঠনটির সভাপতি বিপুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, জাতীয় পার্টি’র মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এসএম ফয়সাল চিশতী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রমুখ।

এইচএম এরশাদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, নবগঠিত ইসি’র অধীনে নির্বাচন করবে না। এজন্য তৃতীয় শক্তির প্রয়োজন। তৃতীয় শক্তি জাতীয় পার্টি ছাড়া আর কাউকে  দেখি না’।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র ও যুব মহাজোটের ৭ দফা দাবির প্রেক্ষিতে এরশাদ বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় গেলে তোমাদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কোটা রাখা হবে। আমিই প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করেছিলাম। অবশ্যই তোমরা অবহেলিত। তবে তোমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলবে না। নিজেদের হীনমন্যতা প্রকাশ করবে না।’

‘আমি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করবো। আনুপাতিকহারে নির্বাচনের জন্য আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেখানে তোমাদের মধ্যে থেকে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ক্ষমতায় আসি, তবে তোমাদের বাপ-দাদার জমি উদ্ধার করতে পারবো ইনশাল্লাহ। আমার ক্ষমতার সময়ে তোমাদের চাওয়ার আগেই আমি অনেক কিছু করে দিয়েছি। তবে এবার তোমরা দুর্গাপূজার ছুটি চেয়েছো। ঈদের সমতুল্য করে তোমাদের দুর্গাপূজার ছুটি ৩ দিন করা হবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমাদের মধ্যে নবজাগরণ ঘটেছে। তোমরা আমার পাশে থাকো। আমাকে তোমাদের ভালোবাসার শক্তি দাও। আমি নতুন করে বাংলাদেশ গড়বো।’

মতবিনিময় সভায় কাজী জাফর আহমেদ বলেন, এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে। পশ্চিম বাংলার সংখ্যালঘুরা এক সময় কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন। কিন্তু তাতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে তারা মমতা ব্যনার্জিকে বিপুল ভোটে জয় করে পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে এক বিবর্তন সৃষ্টি করেছেন। কালের বিবর্তনে আজ হিন্দু সমাজও তাই করতে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টি’র মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণে হিন্দু সমাজ আজ মহাজোট গঠন করেছে। ক্ষমতায় গেলে তাদের ন্যায্য দাবি ও অধিকার সংরক্ষণ করবে জাতীয় পার্টি।

মতবিনিময় সভায় দেশের ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিন্দু ছাত্র মহাজোটের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

রাজনীতি