ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময় না হোক শেষ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ের স্বাদ পেলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। ১৯৭৭ সালে অবসর নিলেও চলতি বছর ফিফা এবং ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে বিশেষ সম্মানসূচক ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে ভূষিত করা হলো বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে। গতকাল জুরিখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফিফা সভাপতি সেপ বাটার পেলের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
১৯৫৬ ফ্রান্স ফুটবল যখন ব্যালন ডি’অর খেতাব চালু করে তখন পেলে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেননি। এক বছর পরে তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান এবং ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইউরোপে বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের জন্য ফ্রান্স এই খেতাব প্রবর্তন করলেও পেলে ক্যারিয়ারে ক্লাব ফুটবলে কখনই কোনো ইউরোপীয়ান ক্লাবে খেলেননি। এরপর ১৯৯১ সালে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা বিশ্ব ফুটবলে সেরাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেয়। আর ২০১০ সালে ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যৌথভাবে ব্যালন ডি’অর চালুর সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। কিন্তু ততদিনে পেলে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে ফেলেছেন। তাই বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর এই পুরস্কার না পাওয়াটা পেলের দূর্ভাগ্যই বটে।
কিন্তু ইতিহাসে এক বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করে সোমবার পেলেকে বিশেষ সম্মানসূচক ব্যালন ডি’অর প্রদান করে ফিফাও যেন অনেকটা দায়মুক্ত হলো। সমসাময়িক অনেক ফুটবলারই যখন একাধিকবার এই পুরস্কার জয় করেছেন সেখানে শুধুমাত্র ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলে অংশ না নেওয়ার কারণে পেলেকে এই সম্মানে ভূষিত করা হবে না এটা যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না পুরো ফুটবল বিশ্ব। আর তাই রীতি শোধরানোর মাধ্যমেই ফুটবলের রাজাকে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে ফ্রান্স ফুটবল তাদের ওয়েবসাইটে স্বীকার করেছে।