আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেন, ‘যারা এ দেশে জামায়াতের রাজনীতি করছেন, তারা পাকিস্তানের সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। দাবি জানাচ্ছি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। আশাকরি, খুব শিগগিরই বাংলার মাটিতে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে।’
হানিফ আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাতেই এই সভার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, ড. ইনামুল হক ও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক কৌশলে পরাস্ত হয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে- অভিযোগ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আজকে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশলে পরাজিত হয়ে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে যাচ্ছে।হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলন করে পরাস্ত করা যাবে না- বিএনপির পক্ষে তা সম্ভবও নয়। এ দলের শিকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ কত শক্তিশালী সংগঠন- তা বিএনপি হারে হারে টের পেয়েছে।
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত কঠোর হওয়া দরকার তত কঠোর হতে পারেন। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে যারা রাজনৈতিক আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা করছে, তারা যেন ভাবিষ্যতে আর এমন করার সাহস না পায়।দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিহার ও দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার জন্য হানিফ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। সহিংসতা ত্যাগ করলে আলোচনার মাধ্যমে একাদশ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, আজকাল গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ আমার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের রোকন তাঁর ভুল বুঝতে পেরে এলাকার উন্নয়নে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু গণমাধ্যমে কি তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল- তা সবাই জানে।গণমাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন আমাদের মতো রাজনীতিবিদদের ক্ষতি হয়তো করতে পারবেন, ইচ্ছাকৃতভাবে চরিত্র হনন করতে পারবেন, কিন্তু এতে দেশের জন্য ভালো কিছু হবে না।