আসামির মুক্তির দাবিতে সামনে নয় ঘণ্টা অনশন

আসামির মুক্তির দাবিতে সামনে নয় ঘণ্টা অনশন

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাংসদ খান টিপু সুলতান এক আসামির মুক্তির দাবিতে থানার সামনে নয় ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই আসামিকে আটক করার পর থেকে সাংসদ খান টিপু সুলতানের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ থানার প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসে। রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলছিল।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রেজাউল হোসেন জানান, মনিরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আদম আলীর বিরুদ্ধে থানায় ভাঙচুর ও চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা আছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র শহীদ ইকবাল হোসেনের বাড়িঘর ভাঙচুরের মামলায় আদমকে আটক দেখানো হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মনিরামপুরে ‘আদম বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী রয়েছে। ওই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস কেউ দেখান না।

যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, ১৬ জানুয়ারি মনিরামপুর আসনের স্থগিত হওয়া ৬০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ ও ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্যে আদম আলীকে আটক করা দরকার ছিল।

মনিরামপুর থানার ওসি রেজাউল হোসেন আরও বলেন, এমপি সাহেবের নেতৃত্বে থানার সামনে অবস্থান নেওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংসদ খান টিপু সুলতান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার কাজে বাধা সৃষ্টি হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। আদম আলী আটক হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনগণকে প্রশমিত করতেই আমি তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনশন করছি।’ বেআইনি ও জনবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।

আট মামলার আসামি আদম আলীর মুক্তির জন্যে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কেন—এ প্রশ্নের জবাবে খান টিপু সুলতান বলেন, ‘আদম আলী বেশির ভাগ মামলায় জামিনে আছেন। তা ছাড়া জামায়াত-বিএনপির খুনের আসামিরা সামনে ঘুরে বেড়ালেও এসপি তাঁদেরকে ধরছে না।’

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেশমা শারমিন জানান,  নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রাজনীতি