দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে না জানিয়েই অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর!
শনিবার রাত ৯টার দিকে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের স্বাক্ষর করা একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তাতে আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করার কথা বলেন মির্জা আলমগীর। সেই সঙ্গে ১৫ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।
পরে রাত ১১টার দিকে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমের স্বাক্ষর করা একটি সংশোধিত বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রথম বিবৃতিটার বিষয়ে দলীয় প্রধান অবগত ছিলেন না। পরে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দ্বিতীয় বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
১৫ দিন পর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু ‘আস্থা সঙ্কটে’ থাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যাননি বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথমদিন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর একটি ফোনালাপ ইউটিউবে প্রকাশ হয়। একজন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আত্মগোপন কৌশল অবলম্বন করায় তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে শমসের মবিন চৌধুরীর কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেন।