ব্রাজিলেই হবে বিশ্বকাপ

ব্রাজিলেই হবে বিশ্বকাপ

এসে গেছে বিশ্বকাপের বছর। ঠিক পাঁচ মাস পর এই দিনেই শুরু হবে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। তবে প্রস্তুতিতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারেনি স্বাগতিক ব্রাজিল। গত ডিসেম্বরে ফিফার হাতে বিশ্বকাপের বারটি স্টেডিয়াম বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। রাস্তার আন্দোলন কমাতে পারছে না। দেখা দিয়েছে নিরাপত্তাহীনতা। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। হোটেল ও যাতায়াত খরচ বেড়েছে বহুগুণে। ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য নেতিবাচক দিকের অভাব নেই। কিন্তু তারপরও ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের বিশ্বাস, ব্রাজিলেই অনুষ্ঠিত হবে সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপের আসর!

২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত জার্মানি বিশ্বকাপকেই এ যাবতকালের সেরা বিশ্বকাপ আসর মানেন অনেকে। আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপও ফুটবলবোদ্ধাদের নজর কেড়েছে। এর আগে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপও ছিল আকর্ষণীয়। ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপের কথাও অনেকের চোখে ভাসে। তবে এগুলোর মধ্যে কোনো একটাকে সর্বকালের সেরা আসর বলে দেওয়া কষ্টকর বৈকি! ব্রাজিলে কি তেমনই এক আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে! ফিফা সভাপতি বলছেন, ‘সব সমালোচনা সত্ত্ব্বেও এটাই হবে সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ।’ এর কারণ কি? ব্রাজিলে আগেও বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫০ সালে স্বাগতিক ব্রাজিল শিরোপা হারিয়েছিল উরুগুয়ের কাছে। এবারেও যে ব্রাজিল জিতবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে ব্ল্যাটার বলছেন, ‘এখন ফুটবলের ছন্দ ভিন্ন। প্রতিযোগিতার লেভেলটাও ভিন্ন মাত্রার। ৩২ টা দল লড়াই করবে শিরোপার জন্য। তখন (১৯৫০ সালে) তো ষোলটা দলও ছিল না লড়াইয়ে।’

কিন্তু এখনো যারা প্রস্তুতিটাই সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদের কাছ থেকে একটা সেরা আসর উপহার পাওয়ার আশা করা বোকামি নয় কি! ফিফা সভাপতি বলছেন, ‘আমি আশা করি মার্চের মধ্যেই সবগুলো স্টেডিয়াম প্রস্তুতি শেষ করতে পারবে। তখনো আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে স্টেডিয়ামগুলোকে পরীক্ষা করার জন্য। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই স্টেডিয়ামগুলো দর্শকদের সব চাহিদাই পূরণ করতে সক্ষম হবে।’ ফিফা এতদিন সমালোচনা করলেও ব্রাজিলের পক্ষেই ছিল বরাবর। ফিফার দৃষ্টিতে, ব্রাজিলে ফুটবল হচ্ছে ধর্মের মতো। ধর্মের অবমাননা ব্রাজিলে কেউই সহ্য করবে না। এ কারণেই এখানে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন হবে অন্য যে কোনো বারের চেয়ে দারুণ। দেখা যাক, আয়োজক রোনালদোরা কতটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারেন!

 

খেলাধূলা