কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে কেন্দ্র করে বড়সড় ফাটল ধরেছে ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে। এ নিয়ে যথেষ্টই হতাশ হোয়াইট হাউস। কয়েকজন পদাধিকারীর নির্বুদ্ধিতায় সম্পর্কের এ অবনতি বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ১২ই ডিসেম্বর দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেপ্তারের খবর শোনার পরেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিল হোয়াইট হাউস। একে ঘিরে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বারাক ওবামা। দেবযানী খোবরাগাড় মামলায় অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন তিনি। দেবযানীর গ্রেপ্তারের পরেই, মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরি সলমন খুরশিদের সঙ্গে দেখার কথা বলতে চাইলেও, তাকে সময় দেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের কাছে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর- দেবযানী দেশে ফেরার হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে মার্কিন প্রশাসন। এরপর সম্পর্কের ফাটল মেরামতির কথা ভাবছে তারা। দেবযানী খোবরাগাড়ে ইস্যুতে কঠোর অবস্থান থেকে সরছে না নয়া দিল্লি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যা যা করা উচিত, সেটাই করছে ভারত।