গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পাতানো, প্রহসনমূলক ও দেশ-বিদেশে সবার কাছে অগ্রহণযোগ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা এবং দেশব্যাপী যৌথবাহিনী দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার, বাড়িঘর লুটপাট ও নির্যাতন নিপীড়ণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান তিনি।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, সরকারদলীয় গুণ্ডারা সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে যা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত মিথ্যাচারেরই অংশ। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন, তা ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এখন হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে সংবাদপত্রে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে হামলাকারী কারা তা চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। মির্জা আলমগীর ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে যথাযথ সাহায্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি ও দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত বর্জন এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রবল সমালোচনার মুখে মরিয়া হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার এবং যৌথবাহিনী ও তাদের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, ৫ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও অপকৌশল দ্বারা চলমান গণআন্দোলনকে কোনোভাবেই কলুষিত করে স্তব্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ণ ও গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ না করলে অতীতের স্বৈরাচারদের মতোই ভাগ্যবরণ করতে হবে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব উল্লেখ করেন।
জনতার যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরকে কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।