বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াত সন্দেহে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নিরহ গ্রামবাসী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
পুলিশের ভয়ে এখন গাবতলী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে কাগইল, নারুয়ামালা, সোনারায়, নশিপুর ও রামেশ্বরপুর এই পাঁচটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি বগুড়া-৭ আসনেসর গাবতলী উপজেলার ৮৮টি ভোটকেন্দ্রেই কমবেশি সহিংসতা হয়। এরমধ্যে ভোটকেন্দ্র হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৪৬টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। ভোটের পর দিন থেকেই স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্রগুলোতে হামলার অভিযোগে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করা শুরু হয়।
এসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ২০ হাজারের অধিক বিএনপি ও জামায়াত এর অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে। মামলা দায়ের করার পর বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। ১ম রাতেই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গাবতলীর উপজেলা বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ব্যক্তি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গাবতলী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আটককৃতদের ব্যাপারে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম হেলাল অভিযোগ করেছেন, পুলিশের অত্যাচারের হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ কোনো যাচাই বাছাই না করেই হাটে বাজার করতে আসা লোকজনকেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে।