একের পর এক চোটে সেরা একাদশ গড়তেই হিমশিম খাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত একাদশের ছয়জনই ছিলেন না নিউজিল্যান্ডে। তাতে ওয়ানডেতে ৩০-এর বেশি গড়ে রান করা ব্যাটসম্যান ছিলেন মাত্র একজন! সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষটিতে নাকানি-চুবানি খাওয়াল নিউজিল্যান্ডকে। হ্যামিল্টনে ২০৩ রানে জিতে সিরিজটা ২-২ সমতায় শেষ করল তারা। এটা আবার রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার কিউইদের। কার্ক এডওয়ার্ডস, ডোয়াইন ব্রাভোর সেঞ্চুরিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৬৩ রানের স্কোর পায় ক্যারিবিয়ানরা। এত দিন ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬০ রান ছিল তাদের সর্বোচ্চ। জবাবে মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। অকল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ ম্যাচটি দাপটে জিতে সিরিজ শেষ করল তারা। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে।
সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে রানের খাতা খুলতে পারেননি জনসন চার্লস। অন্য ওপেনার কিয়েরন পাওয়েল করেছিলেন ৪ ও ১ রান। পুরো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কোনো ফিফটির দেখা পাননি কার্ক এডওয়ার্ডস। আর হ্যামিল্টনের আগে ১৫৩ ওয়ানডেতে ডোয়াইন ব্রাভোর সেঞ্চুরি ছিল একটাই। টপঅর্ডারের এই চারজনই জয়ের নায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১২ ওভারে দুই ওপেনার যোগ করেন ৯৫ রান। নাথান ম্যাককালামের থ্রোতে চার্লস (৩১) রান আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে জুটিটা। সেই ম্যাককালামই এলবিডাবি্লউ করেন অন্য ওপেনার পাওয়েলকে। ৪৪ বলে ১২ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৭৩ করেন পাওয়েল। মিচেল ম্যাকক্লেনঘানের এক ওভারে ১৮ নেওয়া পাওয়েলের ক্যাচ গ্যালারিতে এক হাতে ধরে স্পন্সরের কাছ থেকে ৮৩ হাজার ডলারও পেয়েছেন ভাগ্যবান এক দর্শক।
২৫তম ওভারে ১৪৩ রানে ৩ উইকেটের সময় জুটি শুরু হয় এডওয়ার্ডস ও ব্রাভোর। তাঁদের ২১১ রানের যোগদানে স্কোরটা পৌঁছে ৩৬৩তে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সব শেষ ৩০০ রানের ইনিংসই পেয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া এডওয়ার্ডস ১০৮ বলে ১২ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় অপরাজিত থেকে যান ১২৩ রানে। অধিনায়ক ও ম্যাচসেরা ব্রাভো ৮১ বলে ১২ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ১০৬ করে ৪৯তম ওভারে ফেরেন কেন উইলিয়ামসনের বলে। শেষ ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ১১৭ রান। জবাবে নিকিতা মিলারের ঘূর্ণি আর জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেলদের গতিতে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। ওয়েবসাইট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ৩৬৩/৪ (এডওয়ার্ডস ১২৩, ব্রাভো ১০৬, পাওয়েল ৭৩, চার্লস ৩১; অ্যান্ডারসন ১/৭৭, ম্যাককালাম ১/৬৪)
নিউজিল্যান্ড : ২৯.৫ ওভারে ১৬০ (অ্যান্ডারসন ২৯, মিলস ২৬, রাইডার ১৭, উইলিয়ামসন ১৬; মিলার ৪/৪৫, হোল্ডার ২/৩৫, রাসেল ২/৩১)। ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ডোয়াইন ব্রাভো। সিরিজ : ২-২ ড্র