জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র ও সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এখনই সময়; প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও অপশক্তিকে রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমন্বিত রাখতে হবে। আজ সকালে বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া গবেষণাকাজের ওপর এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের পূর্ণ নিরাপত্তা রাষ্ট্র ও সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সরকার অবিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আমি আশা করি। নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে সহিংসতার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হলো নির্বাচনকালীন যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়, সে জন্য মাঠে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন দেখলাম একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করল। ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ করা হলো; তাও দেখলাম। ঝাঁপ দিয়ে শীতের মধ্যেও অতিরিক্ত সময় পানিতে থাকতে দেখলাম। গণমাধ্যমের কল্যাণে দেখেছি, অনেক মানুষ অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। অনুনয়-বিনয় করে তাদের রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকার যেন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন হয়। তিনি বলেন, এ ব্যর্থতা যেন প্রলম্বিত না হয়। প্রলম্বিত হওয়া মানে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, লুটতরাজ প্রলম্বিত হওয়া। ব্যর্থতার অর্থ হতে পারে আমাদের দেশের ওপর বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর আস্থাহীন ওঠে যাওয়া। প্রলম্বিত হওয়ার আরেকটি অর্থ হতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে বাংলাদেশ, সে অস্তিত্বই বিপন্ন হওয়। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে ‘সকলের জন্য সমান সুযোগ, অধিকার, সুরক্ষা ও পূর্ণ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈষম্য বিলোপবিষয়ক আইন প্রণয়ন’ বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন কমিশনের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা ফউজুল আজিম। অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য এমশাহ আলম ও সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।