৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস।

৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস।

আজ ৭ জানুয়ারি। ২০১১ সালের এই দিনে এশিয়ার বধ্যভূমিখ্যাত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত হয় ইতিহাসের এক নারকীয় হত্যাকান্ড। ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তার নিথর দেহ কাঁটাতারের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টারও বেশী সময় ঝুলিয়ে রাখা হয়। ইতোমধ্যে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য।

ফেলানীর মৃতদেহ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলেছিল। পরে বিএসএফ লাশ নামিয়ে ভারতের কুচবিহারে নিয়ে যায়। মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি ১২টায় বর্ডারগার্ড, পুলিশ প্রশাসন ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেলানীর লাশ ফুলবাড়ী থানায় তুলে দেয়া হয়। একদিন পর ৯ জানুয়ারি লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কাঁটাতারে ঝুলে থাকা লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতার একটি প্রতীক হয়ে দাড়ায় ফেলানী। পরে ভারত সরকার ফেলানী হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করে।

বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠনের চাপে এবং বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেয়া হয়।

এরপর গত ১৩ অগাস্ট ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বিএসএফ ছাউনিতে অমিয় ঘোষের বিচার শুরু হয়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

পাঁচ বিচারকের এই আদালত রায়ে বলে, বিএসএফ ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের হাবিলদার অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আদালত পায়নি।

এভাবে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য মামলা থেকে অব্যাহতি পান।

এই হত্যাকাণ্ডের পর বিএসএফর ডিজি বাংলাদেশে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের ওপর তারা কোনো মরণাস্ত্র ব্যবহার করবেন না। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি।

বাংলাদেশ