যুক্তরাষ্ট্রে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রে চলতি মৌসুমের এ পর্যন্ত তীব্রতম শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার আশঙ্কায় লোকজনকে ঘরের ভেতরে অবস্থান ও খাবার মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুষারঝড়ের কারণে দুই ফুট পর্যন্ত বরফের আবরণ জমে গেছে। এ দুর্যোগে গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া বিমানের অন্তত পাঁচ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি (শূন্যেরও ৫০ ডিগ্রি নিচে) সেলসিয়াসে নামার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ অঞ্চলের মানুষকে নিজেদের নিরাপত্তা ও রাস্তার বরফ অপসারণের সুবিধার্থে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপের ১০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ভারী তুষারপাতের কারণে সেখানকার একটি শক্তিশালী ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়েছে। মার্কিন জাতীয় আবহওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে প্রবাহিত অতি শক্তিশালী শৈত্যপ্রবাহের কারণে ওহাইও, সাউথ ডাকোটা, ইলিনয় অঙ্গরাজ্যসহ আশপাশের এলাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ঠান্ডা পড়তে পারে। এ শৈত্যপ্রবাহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রসারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা বব অরাভেক বলেন, উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে এর আগে খুব জোরালো শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। এ রকম ঠান্ডা সচরাচর পড়ে না।
কানাডার টরন্টোর তাপমাত্রা গত বৃহস্পতিবার মাইনাস ২৯ এবং কুইবেক সিটিতে মাইনাস ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, কানেটিকাট ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে ভারী তুষারপাতের কারণে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বোস্টন শহরে প্রায় ১৮ ইঞ্চি পুরু বরফ পড়েছে বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ ছাড়া গত শনিবার প্রায় ছয় হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। কানাডার আবহাওয়া বিভাগ একটি বিশেষ সতর্কতা জানিয়ে বলেছে, অন্টারিও প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হতে পারে

আন্তর্জাতিক